৫ বছরের নিচে শিশুদের ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার প্রধান কারণ রোটা ভাইরাস। ২ বছরের কম বয়সী শিশুরা আরও বেশি ঝুঁকিতে থাকে। ডায়রিয়ায় আক্রান্ত শিশুদের ৮০ ভাগের বেশি রোটা ভাইরাসের কারণে হয়। বাচ্চারা সাধারণত এটা সেটা মুখে দেয় এবং ভাইরাসটা মুখের মধ্য দিয়েই শিশুদের পাকস্থলীতে প্রবেশ করে।
শিশুকে এই ভাইরাস থেকে প্রতিরোধ করতে রয়েছে রোটা ভাইরাস ভ্যাকসিন। কম্পানি ভেদে দুই বা তিন ডোজের রোটা ভাইরাস ভ্যাকসিন বাজারে রয়েছে। রোটা রিক্স ও রোটা টেক নামে দুই কোম্পানির ভ্যাকসিন রয়েছে। যেকোনো একটি ভ্যাকসিন নিবেন রোটা টেক তিন ডোজ নিতে হয়। রোটা রিক্স দুই ডোজ নিতে হয়।
এটি সরকারি ভ্যাক্সিন নয় তাই সরকারী হাসপাতালে এই ভ্যাক্সিন পাওয়া যায়না এবং ইপিয়াই তে এই ভ্যাক্সিন যুক্ত নেই। রোটা টেক এর ডোজ ২, ৪ এবং ৬ মাস। রোটা রিক্স এর ডোজ ২ এবং ৪ মাস। ১.৫ মাস এর পর থেকে বাচ্চাকে রোটা ভাইরাল ভ্যাক্সিন দেওয়া যায় এবং ৮ মাস পূর্ন হওয়ার আগে অবশ্যই সবগুলো ডোজ সম্পন্ন করতে হবে, তার মানে অবশ্যই ৬ মাস পূর্ণ হওয়ার আগে রোটা টীকা শুরু করতে হবে নয়ত এরপর দেয়া যাবে না।
রোটা ভাইরাসের সংক্রমণে ডায়রিয়া হলে শিশুরা দুর্বল হয়ে পড়ে। এমনকি মৃত্যুও হতে পারে। সাধারণত রোটা ভাইরাল ডায়ারিয়া শুরু হয় বমি দিয়ে, এরপর পাতলা পায়পখানা শুরু হয়। দিনে সংখ্যবার পাতলা পায়খানা হয় এবং বাচ্চা খুব দ্রুতই দুর্বল হয়ে পরে।
বড়দের ক্ষেত্রে রোটা খুব একটা দুর্বল করতে পারে না। প্রাপ্তবয়স্কদের শরীরের রোটা ভাইরাস প্রতিরোধ ক্ষমতা যথেষ্ট থাকে। কিন্তু বাচ্চার ক্ষেত্রে সেটা থাকে না। এজন্য রোটা ভাইরাস রোধ করতে শিশু কী খাচ্ছে সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। আপনার শিশুর খেলনা ফুটানো পানি দিয়ে পরিষ্কার করে দিতে হবে। বড়দের হাতের মোবাইল কোন ভাবেই বাচ্চাকে দেওয়া যাবে না।
রোটা ভাইরাসে এন্টিবায়টিকের কোন ভূমিকা নেই। বরং এন্টিবায়টিক বাচ্চার জন্য হীতে বিপরীত হতে পারে। ভাইরাস প্রতিরোধে মায়ের দুধ কার্যকর। বাচ্চাকে বেশি করে বুকের দুধ দিতে হবে। প্রতিবার পায়খানার পর ওর স্যালাইন দিতে হবে। বাচ্চা যেন পানিশূন্যতায় না ভুগে সেটা গুরুত্ব দিতে হবে। শিশুর স্বাভাবিক খাবার বন্ধ করা যাবে না। এর ফলে শিশু আরও বেশি দুর্বল হয়ে পড়ে এবং ঝুঁকিতে থাকে। বাচ্চা যত বেশি দূর্বল হয়ে যাবে তত রোটা ভাইরাস বাচ্চার উপর প্রাধান্য বিস্তার করবে। অন্য দিকে বাচ্চাকে যত বেশি পানি, স্যালাইন এবং বুকের দুধ দিয়ে সতেজ রাখা যাবে বাচ্চার রোগ পতিরোধ ক্ষমতা তত সবল থাকবে এবং বাচ্চা তত সহজে রোটা ভাইরাল ডায়ারিয়া থেকে সেরে উঠতে পারবে।
রোটারিস্ক ভ্যাক্সিন দোকান থেকে কিনে এনে বাসায় খাওয়াতে পারবেন। নিচে দেয়া ভিডিও দেখলে খাওয়ানোর নিয়ম বুঝে যাবেন। ১ম ডোজের ২৮ দিন পর ২য় ডোজ দেয়া যাবে। ২ টা ডোজ একসাথে কিনে ১ টা খাওয়াবেন এবং অন্যটি ফ্রিজের নরমাল চেম্বারে সংরক্ষণ করতে হবে।
MBBS, MS (Pediatric Surgery)
SCHP (Paediatrics) Australia, CCD
Child Specialist & Pediatric Surgeon
চেম্বারঃ
আল-মারকাজুল ইসলামী হাসপাতাল
২১/১৭, বাবর রোড, মোহাম্মদপুর, ঢাকা।
সিরিয়ালের জন্য কল করুনঃ 01755515556 (দুপুর ৩ টায়)
সিটি কেয়ার জেনারেল হাসপাতাল
২৩/৬, রুপায়ন শেলফোর্ড, লেভেল ৮, শ্যামলী। (শিশু মেলার বিপরীতে)
সিরিয়ালের জন্য কল করুনঃ 09642400300
অনলাইন কনসালটেশনঃ m.me/cdc.dhaka.bd