৬-৮ মাসঃ বাচ্চা নানা রকম শব্দ করবে এবং বিভিন্ন শব্দ দিয়ে নিজের খুশি, রাগ, দুঃখ প্রকাশ করবে।
৯-১২ মাসঃ প্রথম পরিপূর্ণ শব্দ বলতে পারবে। ছোট ছোট শব্দ 'বাবা' 'মামা' ইত্যাদি বলবে। ছোট ছোট নির্দেশ বুঝবে।
১৮ মাসঃ ১০টা মত শব্দ বলতে শিখবে। পরিচিত মানুষ, বডি পার্ট চিনতে পারবে।
২৪ মাসঃ ২ বছর বয়সে ৫০ বা তার অধিক শব্দ বলতে পারবে। দুই শব্দ জোড়া দিয়ে বাক্য বলতে শিখবে। এরপর মোটামোটি বোঝা যায় এমন কথা বলবে। ৫০% অপরিচিতরা তার কথা বুঝতে পারবে।
২-৩ বছরঃ ৪-৫ টি শব্দ দিয়ে বাক্য বলতে পারবে। আমি, তুমি, সে ইত্যাদি দিয়ে বাক্য বলতে শিখবে। আস্তে আস্তে অপরিচিতরাও তার বেশিরভাগ কথা বুঝতে পারবে। সাধারণ নির্দেশনা অনুসরণ করতে পারবে। যেমনঃ গ্লাস নিয়ে আস। সাধারণ প্রশ্ন করতে পারবে। যেমনঃ এটা কি? এটা ডগি?
৩ বছরঃ ৩ বছর বয়সে ৫টা শব্দ জোড়া দিয়ে ব্যাক্য বলতে পারবে। দুইটা বাক্য জোড়া দিতে পারবে। যেমনঃ আমি খেয়েছি, তাই আমার পেট ভরা। সাধারণ কথাপোকথন চালিয়ে নিতে পারবে। ৫০০+ শব্দ ভান্ডার থাকবে তার দখলে। ৭৫% অপরিচিতরা তার কথা বুঝতে পারবে।
৪ বছরঃ প্রতিনিয়ত নতুন শব্দ শিখবে। আলাপচারিতা আরো লম্বা হবে, সাথে কথা আরো গোছানো হবে। ১০০% অপরিচিতরা তার কথা বুঝতে পারবে। গল্প বলতে পারবে। প্রিপোজশন গুলো বুঝতে শিখবে। অতীত কালে কথা বলতে পারবে।
৫ বছরঃ বাচ্চার বয়স ৫ বছর হয়ে গেলে বলা যায় তার কথা শেখা সম্পূর্ণ হবে। ভবিষ্যত কাল ব্যবহার করতে পারবে।
বাচ্চা এই সময়ের মধ্যে যা শুনবে সেগুলোই শিখবে। কোন বাচ্চা যদি আরবি শুনে তাহলে আরবি শিখবে, ইংরেজী শুনলে ইংরেজী শিখবে। চাইনিজ শুনলে চাইনিজ শিখবে। এটাকেই বলা হয় বাচ্চার মাদার টাং। বাচ্চার ভোকাবোলারি সমৃদ্ধ করতে প্রয়োজন বাবা-মার সাহায্য। এই সময় বাবা মা যা বলবে যেভাবে বলবে বাচ্চা সেটাই অনুকরণ করবে। বাচ্চার সাথে যত বেশি গল্প করবেন বাচ্চা তত দ্রুত কথা শিখবে। যত বাচ্চাকে একা রাখবেন তত বাচ্চার কথা শিখতে দেরী হবে। মনে রাখবেন বাচ্চাকে দিয়ে বেশি বেশি কথা বলাতে হবে। উৎসাহ দিতে হবে। এটা প্রত্যেক বাবা-মার দায়িত্ব।
যেসব বাচ্চা কথা দেরীতে বলছে তারা মোবাইল বা টিভিতে আসক্ত কিনা, একা বেশি থাকে কিনা খেয়াল করতে হবে। মোবাইল এবং টিভি এসব বাচ্চার জন্য সম্পূর্ন নিষিদ্ধ। ২ বছরের পর থেকে দৈনিক ৬০ মিনিট টিভি দেখতে পারবে তবে সেটাও গান নাচ নয়। বাচ্চার কথা শেখা ও বিকাশের সহযোগী সহজ ভাষায় সুস্থ বাচ্চাদের অনুষ্ঠান। টিভি দেখার সময়টা বাচ্চাকে একা ছাড়া যাবে না বরং টিভি দেখার ফাকে ফাকে বাচ্চাকে বুঝাতে হবে এবং কি দেখছে জানতে চেয়ে সময়টা শিক্ষণীয় করে তুলতে হবে।
বাচ্চাকে প্রচুর সময় দিতে হবে। বলা যায় ঘুম থেকে উঠা থেকে ঘুমোতে যাওয়া পর্যন্ত সার্বক্ষণিক একজন বাচ্চার সাথে কথা বলবে এবং বলাবে। বাচ্চাকে প্রচুর গল্প শোনাতে হবে। অবশ্যই খেয়াল রাখবেন গল্প গুলো ধীরে ধীরে এবং বুঝিয়ে বুঝিয়ে বলতে হবে এবং সম্ভব হলে এক লাইনই ২-৩ বার করে বলতে হবে। বাচ্চাকে অবজেক্ট দেখিয়ে এবং বই এর ছবি দেখিয়ে অবজেক্ট চিনতে সাহায্য করতে হবে। বাচ্চাকে নিয়মিত হাটতে নিয়ে যেতে হবে। এভাবে চেষ্টা করলে বাচ্চা ৬ মাসে কথা বলার ব্যাপারে বেশ এগিয়ে যাবে।
খুব বেশি সমস্যা থাকলে বাচ্চাকে স্পিচ থেরাপি দিতে হবে। এজন্য কোয়ালিফাইড স্পিচ ও ল্যাংগুয়েজ থেরাপিষ্ট দেখাতে হবে। স্পিচ থেরাপির জন্য সাবেক পিজি হাসপাতাল (বর্তমান BSMMU) এর স্পিচ থেরাপি বিভাগে অথবা সিআরপি হাসপাতালে দেখাতে পারেন। আপনি ঢাকা থেকে দূরে থাকলে প্রাথমিক ভাবে স্থানীয় শিশু হাসপাতালের শিশু বিকাশ কেন্দ্রে দেখাতে পারেন।
বাচ্চার কথা বলার মাইলফলক সহজে মনে রাখবেন যেভাবে-
১ বছরে বলবে বিভিন্ন ১ শব্দ।
২ বছরে বলবে ২ শব্দের বাক্য।
৩ বছরে বলবে ৩ শব্দের বাক্য।
৪ বছরে পুরো গল্প বা সব কথা বলতে পারবে।
অপরিচিত মানুষ বাচ্চার কথা বুঝবে-
১ বছরে ২৫%
২ বছরে ৫০%
৩ বছরে ৭৫%
৪ বছরে ১০০%
MBBS, MS (Pediatric Surgery)
SCHP (Paediatrics) Australia, CCD
Child Specialist & Pediatric Surgeon
চেম্বারঃ
আল-মারকাজুল ইসলামী হাসপাতাল
২১/১৭, বাবর রোড, মোহাম্মদপুর, ঢাকা।
সিরিয়ালের জন্য কল করুনঃ 01755515556 (দুপুর ৩ টায়)
সিটি কেয়ার জেনারেল হাসপাতাল
২৩/৬, রুপায়ন শেলফোর্ড, লেভেল ৮, শ্যামলী। (শিশু মেলার বিপরীতে)
সিরিয়ালের জন্য কল করুনঃ 09642400300
অনলাইন কনসালটেশনঃ m.me/cdc.dhaka.bd