জোয়ান-রসুন সামান্য ভেজে পুটলি করে ব্যবহার করবেন। বাচ্চা ঘুমিয়ে গেলে বালিশের পাশে রাখুন। জোয়ানের গন্ধ বন্ধ নাক খুলতে সাহায্য করে। ঠান্ডা উপশম করে।
সরিষার তেল খাটি হলে সেটা হালকা গরম করে গলায় এবং বুকে মাখতে পারেন। শরীর গরম রাখবে এবং বাচ্চা আরাম পাবে।
কালোজিরা ভর্তা করে খাবারের সাথে মিশিয়ে খাওয়াতে পারেন। এছাড়া কালজিরা তেল রসুন দিয়ে গরম করে বুকে পিঠে মালিশ করতে পারেন।
১ বছরের বড় বাচ্চাকে ১ চমচ করে মধু খাওয়াবেন। মধুর অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান গলার গ্ল্যান্ড ফুলে যাওয়া কমায় এবং ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ ঠেকাতে সাহায্য করে। সর্দি-কাশির সমস্যা উপশম দেয়।
নারকেল তেলে কিছুটা কর্পূর গরম করে নিয়ে গলায় এবং বুকে মালিশ করতে পারেন। গলা ধরা, বুকের কফে উপকারী। শরীরও গরম রাখে।
সর্দি-কাশির সমস্যা হলে প্রচুর পানি খেতে হবে। প্রচুর পরিমাণে পানি খেলে শ্লেষ্মা পাতলা হয়ে আসে। তবে অবশ্যই কুসুম গরম পানি খাওয়াবেন।
গরম পানিতে সামান্য লবণ দিয়ে গরগরা করলে গলার প্রদাহ কমে এবং শুকনো কাশিতে আরাম পাওয়া যায়। ছোট বাচ্চারা এটা স্বাভাবিক ভাবেই করতে পারবে না।
ঠান্ডায় তুলসি পাতা বেশ উপকারী। এক কাপ পানিতে কয়েকটা তুলসী পাতা ও আদা কুচি ফেলে ফোটাবেন। পানি ফুটে অর্ধেক হয়ে এলে তা নামিয়ে দিনে দুই বেলা খাওয়ালে সর্দি-কাশি কমবে।
আদা-মধু-রসুন-দারুচিনির মশলা চা ঠান্ডায় বিশেষ উপকারী। ছোট বাচ্চারা খেতে না পারলেও বড় বাচ্চা এবং এডাল্টে এটা খুবই উপকারী। আদা কফ কমাতে কাজ করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, শ্লেষ্মা কমায় এবং ঠান্ডা নিরাময়ে সাহায্য করে। রসুনের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান। এটি আপার রেসপিরেটরি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন কমাতে কাজ করে। দারুচিনিতে রয়েছে অ্যানালজেসিক ও অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান। এটি ব্রঙ্কাইটিসের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়।
রসুন সর্দি-কাশির মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়া এতে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়া, অ্যান্টিভাইরাল ও অ্যান্টিফাংগাল উপাদান রয়েছে, যা সংক্রমণ রুখতে পারে। ঠান্ডা লাগলে চার-পাঁচ কোয়া রসুন ঘিয়ে নেড়ে নিয়ে দৈনিক খাবেন। ঘিয়ে ভাজা রসুন সুপের সঙ্গে মিশিয়ে খেলেও আরাম পাবেন। ছোট বাচ্চাদের ক্ষেত্রে ২ কোয়া রসুন ভেজে গলিয়ে খাবারের সাথে দিতে পারেন।
সংক্রমণের সাথে লড়াই করতে হলুদ খুবই উপকারী। গরম দুধে হাফ চামচ হলুদ দিয়ে প্রতিদিন খেলে ইনফেকশন কমবে। ছোট বাচ্চাদের ক্ষেত্রে খাটি হলুদের একচিমিটি গুড়া দুধের সাথে দিতে পারবেন। হলুদ শ্বাসতন্ত্রের ইনফেকশন কমাতে সাহায্য করে।
বাচ্চার নতুন করে ঠান্ডা লাগা এবং ঘুমের মাঝে ঘেমে যাওয়া পরিহার করতে হবে। ঠান্ডা কোন খাবার বাচ্চাকে দেয়া যাবে না। খালি পায়ে ফ্লোরে খেলা যাবে না। শীতে ১ দিন পর পর গোসল করাবেন বাচ্চাকে। বাচ্চা যদি ঠান্ডায় আক্রান্ত হয় তবে ২ দিন পর পর গোসল করাবেন। বাচ্চার চুল খুব ভাল ভাবে শুকাতে হবে। বাচ্চার এলার্জি থাকলে সেসব পরিহার করে চলতে হবে।
বাচ্চার ঠান্ডা-কাশি যদি বেশি থাকে এবং জ্বর থাকে তবে শুধু ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করে বাচ্চাকে ঝুকির মধ্যে ফেলে দিবে না। অবশ্যই একজন ভালো শিশু ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করবেন।
MBBS, MS (Pediatric Surgery)
SCHP (Paediatrics) Australia, CCD
Child Specialist & Pediatric Surgeon
চেম্বারঃ
আল-মারকাজুল ইসলামী হাসপাতাল
২১/১৭, বাবর রোড, মোহাম্মদপুর, ঢাকা।
রবি, মংগল ও বৃহ, বিকেল ৫ঃ০০ - ৭ঃ০০
সিরিয়ালের জন্য কল করুনঃ 01755515556
ইউনিএইড ডায়াগনস্টিক এন্ড কনসালটেশন
2-A/1, দারুস সালাম রোড, মিরপুর-১।
শনি, সোম ও বুধবার, সন্ধা ৭ঃ৩০ - ৯ঃ৩০
সিরিয়ালের জন্য কল করুনঃ 017333702755
অনলাইন কনসালটেশনঃ m.me/cdc.dhaka.bd