বাচ্চার খাবার সময়টা আনন্দময় করে তুলতে হবে। বাচ্চাকে রবোটিক ভাবে খাওয়ালে সুস্থ বাচ্চাও খেতে চাইবে না। খাওয়ার সময় বাচ্চার সাথে খেলতে হবে। বাচ্চার সাথে কোয়ালিটি সময় কাটান। বাচ্চার সাথে খেলুন। একটিভিটি গেমস গুলো ভালো বাচ্চার ডেভেলপমেন্টের জন্য। গল্প শোনান, বই দেখান, কবিতা শোনান। এসবের ফাকে বাচ্চা ঠিক খেয়ে নিবে। খাবার সময়টা বাচ্চার সেরা প্লে টাইম করে তুলুন।
বাচ্চাকে অবশ্যই ঘন্টায় ঘন্টায় খাবার দিবেন না। তাতে হিতে বিপরীত হবে। বাচ্চার পেট সামান্য ভরা থাকলেও বাচ্চা খাবার খেতে চায়না। অন্যদিকে বার বার খাবার অফার করলে বাচ্চার খাবার প্রতি বিরক্তি এবং অনীহা চলে আসবে। বাচ্চাকে অবশ্যই নির্দিষ্ট খাবারের সময় এবং সেটা ৩-৪ ঘন্টা বা তার বেশি সময় পর খাবার অফার করবেন। খাবার রুটিন খুব জরুরী। সকাল ১০ টায় দেয়ার কথা ভাবলে প্রতিদিন একই সময় দিবেন এবং এর আগে ১-১.৩০ ঘন্টার মধ্যে বাচ্চাকে দুধ দিবেন না। বাচ্চা দুধ দিয়ে পেট ভরে রাখলে অন্য খাবার খেতে চাইবে না।
বাচ্চার খাবার পরিবর্তন করুন। বাচ্চাকে প্রতিদিন একই খাবার দিবেন না। বাচ্চার খাবার নিয়ে মা কে এক্সপেরিমেন্ট করতে হবে। বাচ্চা কোন খাবারটা পছন্দ করছে সেটা খুজে বের করতে হবে। আপনি যেটা পছন্দ করেন সেটা আপনার বাচ্চাও পছন্দ করবে এমন তো নয়। তাই নিজের পছন্দের বাইরেও চিন্তা করতে হবে। মোটামোটি যেসব কম্বিনেশন আপনার জন্য চেষ্টা করা সম্ভব সবই আপনি করবেন। বাচ্চার জন্য নতুন নতুন খাবার বানান। তাদেরকে মাঝে মাধ্যে ভিন্ন স্বাদের কিছু অফার করুন, দেখুন সেটা বাচ্চা কিভাবে গ্রহণ করছে। কোন খাবার যেটা বাচ্চাকে অফার করা হয়নি সেটা আগেই বাচ্চা পছন্দ করবে না এমন মনে করবেন না। আপনি জীবনে কোন দিন খান নাই সেই খাবার আপনার বাচ্চার পছন্দের খাবার হতে পারে।
কখনো টিভি বা মোবাইল দেখে দেখে খাওয়ার অভ্যাস করবেন না। মোবাইল বা টিভি দেখলে বাচ্চারা অন্য একটা জগৎ এ চলে যায়। অন্য ধ্যানে থাকলে তাকে যা দেয়া যায় সেটাই মুখে নিয়ে নেয়। কিন্তু বাচ্চা সেটা না বুঝে খায়। এতে বাচ্চার ক্ষুধা বোধ তৈরী হয়না বা ক্ষুধা লাগলে খেতে হবে সেই শিক্ষাটাও বাচ্চার হয়না। মোবাইল বা টিভি দিয়ে খাওয়ালে বাচ্চার মেন্টাল গ্রোথকে আপনি নষ্ট করে দিবেন। বাচ্চার প্রথম ২-৩ বছর বাচ্চা এসবই আপনার থেকে শিখবে। এসব ছোট ছোট গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আপনি বাচ্চাকে সঠিক ভাবে শিক্ষা দিতে পারছেন কিনা সেটা ভাবতে হবে।
বাচ্চাকে অবশ্যই অবশ্যই কখনো জোর করে খাওয়ানো যাবে না। বাচ্চাকে খাওয়ানোর জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা সময় ব্যয় করবেন না। খেয়াল রাখবেন বাচ্চার একটা খাবার যেন সর্বোচ্চ ৩০-৪০ মিনিট এর মাঝে শেষ হয়ে যায়। খুব লম্বা সময় ধরে খাওয়ালে বাচ্চার অনীহা চলে আসবে খাবারে। একই সাথে, লম্বা সময় ধরে খাওয়ালে পরের খাবারটির সময় ঠিক থাকবে না।
যদি সব কিছুর পরও বাচ্চা খেতে চায়না, তবে ভাবতে হবে বাচ্চার কোন কারণে অরুচী হয়েছে। সেক্ষেত্রে বাচ্চার ফুল ইভালিউয়েশন লাগবে। চোখ, বুক, মুখের ভেতর দেখতে হবে। সাথে বিস্তারিত হিস্টোরি লাগবে। বাচ্চার বার বার ডায়ারিয়া থাকে কিনা, পায়খানার সমস্যা আছে কিনা, চামড়ার অবস্থা কেমন, কৃমি আছে কিনা, রক্ত স্বল্পতা / এনেমিয়া আছে কিনা, মুখের ভিতর সাদা কাই পড়েছে কিনা সব এসব বাচ্চার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। সব দেখে প্রয়োজনীয় ঔষধ দিতে হবে। ১ বছর হয়ে গেলেই ৬ মাস পর পর বাচ্চাকে কৃমির ঔষধ দিবেন। বাচ্চাকে মাল্টি ভিটামিন দিতে পারেন। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার দিবেন। সি ভিট খেতে চাইলে দিবেন। সাথে এনেমিয়া থাকলে আয়রন লাগতে পারে। মুখে সাদা কাই থাকলে সেটার চিকিৎসা লাগবে। এসকল সমস্যায় একজন অভিজ্ঞ শিশু ডাক্তার দেখাবেন।
MBBS, MS (Pediatric Surgery)
SCHP (Paediatrics) Australia, CCD
Child Specialist & Pediatric Surgeon
চেম্বারঃ
আল-মারকাজুল ইসলামী হাসপাতাল
২১/১৭, বাবর রোড, মোহাম্মদপুর, ঢাকা।
সিরিয়ালের জন্য কল করুনঃ 01755515556 (দুপুর ৩ টায়)
সিটি কেয়ার জেনারেল হাসপাতাল
২৩/৬, রুপায়ন শেলফোর্ড, লেভেল ৮, শ্যামলী। (শিশু মেলার বিপরীতে)
সিরিয়ালের জন্য কল করুনঃ 09642400300
অনলাইন কনসালটেশনঃ m.me/cdc.dhaka.bd