অনেকের প্রশ্ন হলো মায়ের খাবারের সাথে বাচ্চার কোন সম্পর্ক আছে কিনা? হ্যা অবশ্যই সম্পর্ক আছে। বুকের দুধের মাধ্যমে মায়ের খাবারের সামান্য অংশ পাস করে বাচ্চার কাছে যায়। ফলে কিছু কিছু খাবারে সমস্যা হতে পারে।
চলুন জেনে নেই মায়ের কি কি খাবারে বাচ্চার সমস্যা হতে পারেঃ
বাচ্চার মা অনেক চা-কফি বা ডার্ক চকোলেট খেলে বাচ্চার ঘুম কমে যেতে পারে। চা-কফি প্রস্রাব বাড়ায় বিধায় বাচ্চার প্রস্রাব বেড়ে যেতে পারে এবং পানি শূন্যতা হতে পারে।
বাচ্চার যদি এলার্জিক সমস্যা থাকে তবে মা এলার্জিক খাবার খেলে সেটা দুধের মাধ্যমে বাচ্চার কাছে গিয়ে সমস্যা করতে পারে। এলার্জিক খাবার কি কি সেটা নির্দিষ্ট নয়। ডিম, বাদাম, বিভিন্ন মাছ (ইলিশ, চিংড়ি, সামুদ্রিক মাছ ও অন্যান্য), লাল মাংস (গরু, খাসি), গরুর দুধ, গম, কিছু সবজি, ধুলাবালি থেকে এলার্জি বেশি হতে দেখা যায়। তবে এর বাইরেও অন্যান্য খাবার থেকে এলার্জি হতে পারে।
এলার্জি হচ্ছে কিনা সেটা কয়েকটা ভাবে বুঝা যায়। স্কিনে চাকা চাকা হয়ে ফুলে যাওয়া এলার্জির লক্ষণ। এছাড়া পাতলা সর্দি, হাচি এলার্জিক কারণে হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে শুষ্ক কাশি এবং হাপানি এলার্জির কারণে হতে পারে। অল্প কিছু ক্ষেত্রে এলার্জি পায়খানার সমস্যা নিয়ে প্রকাশ পেতে পারে।
বাচ্চার এলার্জি থেকে সমস্যা হচ্ছে কিনা তা সন্দেহ হলে প্রথমে অভিজ্ঞ শিশু ডাক্তার দেখিয়ে এলার্জি পরীক্ষা করতে হবে এবং চিকিৎসা নিতে হবে। পরবর্তীতে কোন খাবারে এলার্জি হচ্ছে সেটাও পরীক্ষা করতে হতে পারে।
বাচ্চার পায়খানার সমস্যাও মায়ের খাবার থেকে হতে পারে। বাচ্চার মা যদি গরুর দুধ খায় বা বেশি মিষ্টি খাবার খায় তবে বাচ্চার হজমের সমস্যা হতে পারে। সকল বাচ্চারই যে সমস্যা হবে সেরকম নয়। তবে যে বাচ্চার পায়খানার সমস্যা চলতে থাকবে তাদের ক্ষেত্রে গরুর দুধ ও মিষ্টি খাবার পরিহার করতে হবে। এরকম বাচ্চারা দৈনিক ৫-১০ বার পাতলা এবং ফেনা ফেনা পায়খানা করতে পারে। দুধ হজম না হওয়ার কারণে পেটে বেশি গ্যাস হতে পারে এবং বাচ্চা স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি কান্না কাটি করতে পারে। গরুর দুধ ও মিষ্টি খাবার পরিহার করে সমস্যা সমাধান না হলে অভিজ্ঞ শিশু ডাক্তার দেখিয়ে পরীক্ষা করে চিকিৎসা নিতে হবে।
অতিরিক্ত ঝাল এবং ভাজা পোড়া খাবার খেলে দুধের স্বাদ চেঞ্জ হতে পারে। দুধের গন্ধ ও স্বাদ ভালো না লাগলে অনেক বাচ্চা বুকের দুধ পর্যপ্ত খাচ্ছে না এমন হতে পারে। এছাড়া অতিরিক্ত ঝাল ও ভাজা পোড়া খাবার খেলে বাচ্চার গ্যাসের সমস্যা হতে পারে।
মায়েদের খাবার কেমন হওয়া উচিতঃ
বুকের দুধ খাওয়াচ্ছে এমন মা সব সময় চেষ্টা করবেন পর্যাপ্ত পানি ও তরল খেতে। মায়ের খাবার হবে ঝোল ঝোল এবং কম মসলা যুক্ত। উপরোক্ত আলোচনার ভিত্তিতে আপনার বাচ্চার সমস্যা বুঝে কিছু খাবার (দুধ, মিষ্টি, এলার্জিক খাবার) পরিহার করতে হতে পারে। তবে সমস্যা না থাকলে এসব খাবার চালিয়ে যেতে কোন বাধা নাই। তবে সকল ক্ষেত্রেই অত্যাধিক চা-কফি, অতিরিক্ত ঝাল ও ভাজা পোড়া এবং পোড়া তেলে ভাজা খাবার পরিহার করতে হবে।
বাচ্চার মা ঠান্ডা খেলে বাচ্চার ঠান্ডা হয়?
অবশ্যই না। বাচ্চার মায়ের ঠান্ডা পানি / আইসক্রিম খাওয়ার সাথে বাচ্চার ঠান্ডা লাগার কোন সম্পর্ক নাই। কারণ এসব মায়ের পেটে যাওয়ার পর আর ঠান্ডা থাকে না। তবে বাচ্চার মা-বাবা এবং পরিবারের কারো ঠান্ডা সর্দি হলে সহজেই বাচ্চা আক্রান্ত হতে পারে কারণ এরকম রোগ গুলো বাতাসে ছড়ায়।
MBBS, MS (Pediatric Surgery)
SCHP (Paediatrics) Australia, CCD
Child Specialist & Pediatric Surgeon
চেম্বারঃ
আল-মারকাজুল ইসলামী হাসপাতাল
২১/১৭, বাবর রোড, মোহাম্মদপুর, ঢাকা।
সিরিয়ালের জন্য কল করুনঃ 01755515556 (দুপুর ৩ টায়)
সিটি কেয়ার জেনারেল হাসপাতাল
২৩/৬, রুপায়ন শেলফোর্ড, লেভেল ৮, শ্যামলী। (শিশু মেলার বিপরীতে)
সিরিয়ালের জন্য কল করুনঃ 09642400300
অনলাইন কনসালটেশনঃ m.me/cdc.dhaka.bd