ওটস ফাইবার প্রধান খাবার। প্রচুর ফাইবার থাকায় এটা পায়খানার পরিমাণ বাড়ায়। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য চিকিৎসায় খুবই ভালো।
ওটস খারাপ কোলেস্টেরল কমিয়ে হার্ট ডিজিজ কমাতে ভূমিকা রাখে।
রক্তের সুগার কমিয়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
পাকস্থলির ক্যান্সার প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে।
এক কাপ তৈরীকৃত ওটসে ১০ গ্রাম সলেবল ফাইবার থাকে। ফলে পেটে বেশিক্ষণ থাকে এবং শোষণ হতে সময় বেশি লাগে। এতে ক্ষুধা কম লাগে। ফলে যারা ডায়েট কন্ট্রোল করতে চান এবং ওজন কমাতে চান তাদের সাহায্য করে।
ওটসে বিভিন্ন ভিটামিন, আয়রন, জিংক, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম আছে।
আপনি নতুন হলে ওটস আপনার পেটের গ্যাস বাড়াতে পারে। পেট ফাপা হতে পারে। এজন্য খুব অল্প পরিমাণ দিয়ে শুরু করে ধীরে ধীরে বাড়ানো উচিত।
ওটসে গ্লুটেন থাকায় কিছু রোগে (সিলিয়াক ডিজিজ) ওটস খেলে রোগ বেড়ে যেতে পারে।
এক কাপ তৈরীকৃত ওটসে ৬০ গ্রাম কার্ব এর বিপরীতে প্রোটিন থাকে মাত্র ১০ গ্রাম।
প্লেইন ওটস খেতে স্বাদ যুক্ত নয়।
অনলাইনে সার্চ করলে দেখবেন ১০০ গ্রাম ওটসে ৩৮৯ কিলো ক্যালরী আছে। ফলে অনেকেই ধারণা করেন ওটস অনেক ক্যালরীফুল খাবার। কিন্তু এখানে বুঝতে হবে ওটস একদম হালকা একটা শস্য, তাই ১০০ গ্রাম ওটস অনেক টুকু। ১ বেলা করে বাচ্চাকে ওটস খাওয়ালে ১০০ গ্রাম ওটস দিয়েই বেশ অনেক দিন চলে যাবে।
এক বেলায় বাচ্চার ওটমিলে ওটস থাকবে ২০ গ্রাম মত। মানে মাত্র ৭৭ কিলো ক্যালরী। এই ২০ গ্রাম ওটস পানিতে ভেজালে ফুলে যাবে। ওটস তো ড্রাই খাওয়া যাবে না তাই এটা পানি বা দুধ দিয়েই খেতে হবে। সেক্ষেত্রে পানি দিলে কোন ক্যালরী এড হবে না। দুধ দিলে দুধের ক্যালরী এড হবে। ১০০ মিলি দুধ যুক্ত করলে আরো ৬০ কিলো ক্যাল যুক্ত হবে। মোট হবে ১৩৫-১৪০ ক্যালরী মত।
অন্য দিকে ১০০ গ্রাম রান্না করা ভাতে আছে ১৩০ কিলো ক্যাল। সাথে একটা মাছ বা মাংসে আছে আরো ৯০-১০০ কিলো ক্যালরী, এছাড়া তেল থাকে মশলা থাকে। এসবে আরো ৩০-৪০ কিলো ক্যাল এর বেশি। সাথে সবজি যুক্ত করলে আরো কিছুটা বাড়বে। তাহলে মাছ মাংস সবজি তরকারী দিয়ে ১০০ গ্রাম ভাত খেলে ক্যালরী দাঁড়ায় ২৫০-২৬০ কিলো ক্যালরী।
এছাড়া, ওটস পেটে গিয়ে ভালো হজম হয়না। এটা ফাইবার জাতীয় খাবার। তাই অন্ত্রে অনেক টুকু রয়ে যায় এবং পায়খানার সাথে বের হয়। যেহেতু এটা পায়খানার বাল্ক তৈরী করে তাই কোষ্ঠকাঠিন্যের রোগীদের জন্য ভালো। যেহেতু এটা পেটে বেশি সময় থাকে তাই ক্ষুধা কিছুটা হলেও কম লাগে ফলে যারা ডায়েটিং করছেন তাদের জন্য উপকারী।
অবশ্যই দেয়া যাবে। ওটস ভালো খাবার। এর বেশ কিছু গুণাগুণ আছে যেটা উপড়ে উল্লেখ করেছি। তবে শুকানা ও কম ওজনের বাচ্চাদের প্রতিদিন প্লেইন ওটস দেয়া উচিত হবে না। এর জায়গায় হাই ক্যালরী অন্য খাবার খেলে তার উপকার বেশি হবে। অথবা ওটসের সাথে অন্যান্য খাবার যুক্ত করে এর ক্যালরী বাড়িয়ে বাচ্চাকে দিতে পারেন। অন্য বাচ্চারা যাদের ওজন স্বাভাবিক তাদের সপ্তাহে ২-৩ দিন অবশ্যই খাওয়ানো যেতে পারে।
আপনার সন্তান যদি খুব স্বাস্থবান না হয় তবে তাকে ওটস দিতে চাইলে আপনার উচিত এটার ক্যালরী কিছুটা বাড়িয়ে নেয়া। এজন্য ওটস এর সাথে এমন কিছু যুক্ত করতে হবে যেটা ক্যালরী বাড়াতে সাহায্য করবে। ওটস তৈরীর সময় স্বর যুক্ত খাটি গরুর দুধ যুক্ত করতে পারেন (১ বছরের পর)। আপনার বাচ্চার ওটসে যে দুধ ব্যবহার করবেন সেটা জ্বাল দেয়ার সময় একটি ডিম এর সাথে মিশিয়ে নিতে পারেন। এতে ওট মিলে প্রোটিনের পরিমাণ বাড়বে। একই সাথে বিভিন্ন ধরণের বাদাম গুড়ো, খেজুর, কিসমিস, চকোলেট চিপস, ডাইড ফল, অন্যান্য তাজা ফল (কলা, ড্রাগন, আপেল, অন্যান্য), বাটার, পিনাট বাটার, দই, চিজ ইত্যাদি ওটস মিলের ক্যালরী বাড়াবে। চিনি যদিও নিয়মিত খাওয়া ভালো নয় তবে সপ্তাহে ২-১ দিন খাওয়ালে সামান্য কিছুটা চিনি বা মিছরী (১ বছরের পর) যুক্ত করতে পারেন যেটা ওটস মিলের ক্যালরী এবং স্বাদ উভয় বাড়াবে।
বাজারে কয়েক ধরনের ওটস পাওয়া যায়। এর মধ্যে রোলড ওটস শিশুদের জন্য ভাল। কারণ রোলড ওটস কিছুটা বেশি রিফাইনড (প্রক্রিয়াজাত)। ফলে এটা কিছুটা সহজে এবং অন্য ওটসের তুলনায় কিছুটা বেশি হজম হয়। ফলে পেটে অযাচিত গ্যাস তৈরী কম হয়। তবে রোলড ওটসের ক্যালরী অন্য ওটসের মতই, বেশি বা কম নয়।
MBBS, MS (Pediatric Surgery)
SCHP (Paediatrics) Australia, CCD
Child Specialist & Pediatric Surgeon
চেম্বারঃ
আল-মারকাজুল ইসলামী হাসপাতাল
২১/১৭, বাবর রোড, মোহাম্মদপুর, ঢাকা।
সিরিয়ালের জন্য কল করুনঃ 01755515556 (দুপুর ৩ টায়)
সিটি কেয়ার জেনারেল হাসপাতাল
২৩/৬, রুপায়ন শেলফোর্ড, লেভেল ৮, শ্যামলী। (শিশু মেলার বিপরীতে)
সিরিয়ালের জন্য কল করুনঃ 09642400300
অনলাইন কনসালটেশনঃ m.me/cdc.dhaka.bd