আমাদের দেশে মায়েদের টীকা সংক্রান্ত অনেক জিজ্ঞাসা থাকে। সব থেকে বেশি যে প্রশ্ন পাই সেটা হলো সামান্য ঠান্ডা আছে টীকা দেয়া যাবে কিনা। এই পোষ্টে এসকল জিজ্ঞাসার বিস্তারিত পেয়ে যাবেন আশা করছি।
টীকা স্থগিত করবেন কখন?
সাধারণ অসুস্থতা যেমনঃ সর্দি, কাশি, হালকা জ্বর, সামান্য বমি, সামান্য ডায়ারিয়া এসবে টীকা স্থগিত করার কোন প্রয়োজন নেই।
বমি এবং ডায়ারিয়ায় মুখে খাওয়ার টীকা স্থগিত করে বাচ্চা সুস্থ হওয়ার সাথে সাথেই টীকা নিয়ে নিতে হবে। সরকারী টীকার মধ্যে মুখে খাওয়ানো হয় শুধুমাত্র পোলিও টীকা। জন্মের পর, ৬, ১০ ও ১৪ সপ্তাহে।
খুব বেশি অসুস্থ বাচ্চা, খিচুনী হচ্ছে এমন বাচ্চা এবং ক্যান্সারের জন্য কেমো থেরাপি চলছে বা এইডস (HIV) আক্রান্ত বাচ্চাকে টীকা দেয়া যাবে না।
সময় মত টীকা দিতে না পারলে কি করনীয়?
সময় মত টীকা না দিতে পারলে ঐ সকল রোগে আপনার বাচ্চা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। ছোট বাচ্চারা যে সকল রোগে আক্রান্ত হয় বেশি সে রোগ গুলোরই টীকা দেয়া হয়ে থাকে। যেমনঃ নিউমোনিয়া, যক্ষা, জন্ডিস (হেপাটাইটিস এ) ইত্যাদি। তাই চেষ্টা করবেন সময় মত টীকা সম্পন্ন করতে।
কোন টীকা দেয়ার শিডিউল তারিখ পার হয়ে গেলে বিচলিত না হয়ে যত দ্রুত সম্ভব টীকা দিয়ে ফেলতে হবে।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যঃ
একই টীকার দুইটি ডোজের মধ্যে নূন্যতম ২৮ দিনের গ্যাপ থাকতেই হবে। যদি ২৮ দিনের ভেতর একই টীকার আরেকটি ডোজ দেয়া হয় তবে সেটাতে কোন কাজ করবে না এবং বাতিল বলে গণ্য হবে।
একই দিনে একাধিক (৪-৫ টি) টীকা দেয়া যাবে। কোন সমস্যা নেই।
হাম হয়ে গেলেও ৯ এবং ১৫ মাসে রাম-রুবেলার টীকা দিতে হবে।
পূর্বের কোন টীকা দেয়ার পর যদি পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া হয় তবে আরেকটি ডোজ দেয়ার পূর্বে অবশ্যই ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করতে হবে।
পেন্টাভেলেন্ট বা ডিপিটি টীকা দেয়ার পর খিচুনী হলে পরের ডোজে ডিপিটির পরিবর্তে আলাদা আলাদা করে ডিটি দিতে হবে।
টীকা দেয়ার পর করনীয়ঃ
টীকা দেয়ার পর জ্বর আসতে পারে। বিচলিত না হয়ে আপনার বাচ্চার ওজন অনুসারে প্যারাসিটামল (নাপা) খাওয়াবেন। সাধারণত ১ দিন ৩ বেলা খাওয়ানো যথেষ্ট।
নাপার ড্রপের ডোজঃ ৪-৪.৫ কেজির বাচ্চা - ০.৮ মিলি; ৫-৫.৫ কেজির বাচ্চা - ১ মিলি, ৬-৬.৫ কেজির বাচ্চা - ১.২ মিলি এবং ৭-৭.৫ কেজির বাচ্চা ১.৪ মিলি, ৮-৮.৫ কেজি - ১.৬ মিলি, ৯-৯.৫ কেজি - ১.৮ মিলি, ১০-১০.৫ কেজি - ২ মিলি।
বিসিজি (যক্ষা) টীকা জন্মের পর বা ৪২ দিনে দেয়া হয়। বিসিজি টীকা দেয়ার জায়গায় পেকে যেতে পারে। আবার নাও পাকতে পারে। বিসিজি টীকার স্থানে সামান্য এক বিন্দু দাগই যথেষ্ট এর কার্যকারীতার জন্য। যদি ৬ মাসের ভেতর একদমই কোন দাগ না হয় এবং হাত দিয়ে কোন উচু-নিচু অনুভূতি না পাওয়া যায় তাহলে এই টীকা আবার দিতে হবে। বিসিজি টীকার জয়গা পেকে গেলে এবং পুজ হলে কোন ঔষধের প্রয়োজন নেই। এখানে ১ মাস কোন মলম, ক্রিম, লোশন বা এন্টিবায়েটিক মলম ব্যবহার করা যাবে না।
অন্যান্য টীকা দেয়ার পর ৫-৭ দিন টীকা দেয়ার স্থানে কোন তেল, শ্যাম্পু, লোশন এবং অন্যান্য প্রসাধনী না দেয়া উত্তম।
MBBS, MS (Pediatric Surgery)
SCHP (Paediatrics) Australia, CCD
Child Specialist & Pediatric Surgeon
চেম্বারঃ
আল-মারকাজুল ইসলামী হাসপাতাল
২১/১৭, বাবর রোড, মোহাম্মদপুর, ঢাকা।
সিরিয়ালের জন্য কল করুনঃ 01755515556 (দুপুর ৩ টায়)
সিটি কেয়ার জেনারেল হাসপাতাল
২৩/৬, রুপায়ন শেলফোর্ড, লেভেল ৮, শ্যামলী। (শিশু মেলার বিপরীতে)
সিরিয়ালের জন্য কল করুনঃ 09642400300
অনলাইন কনসালটেশনঃ m.me/cdc.dhaka.bd