প্যারাসিটামলের ব্যবহারঃ
জ্বর (বগলে তাপমাত্রা ৯৯ ডিগ্রী ফারেনহাইট বা তার বেশি)
যে কোন হালকা ব্যাথা।
শরীরের কোথাও ফোলা বা ইনফ্লামেশন।
নাপা বা অন্য প্যারাসিটামল পেডিয়াট্রিক ড্রপের ডোজঃ (ওজন অনুসারে)
২-২.৫ কেজিঃ ০.৪ মিলি করে ৩-৪ বেলা।
৩-৩.৫ কেজিঃ ০.৬ মিলি করে ৩-৪ বেলা।
৪-৪.৫ কেজিঃ ০.৮ মিলি করে ৩-৪ বেলা।
৫-৫.৫ কেজিঃ ১ মিলি করে ৩-৪ বেলা।
৬-৬.৫ কেজিঃ ১.২ মিলি করে ৩-৪ বেলা।
৭-৭.৫ কেজিঃ ১.৪ মিলি করে ৩-৪ বেলা।
৮-৮.৫ কেজিঃ ১.৬ মিলি করে ৩-৪ বেলা।
৯-৯.৫ কেজিঃ ১.৮ মিলি করে ৩-৪ বেলা।
১০-১০.৫ কেজিঃ ২ মিলি করে ৩-৪ বেলা।
১১-১১.৫ কেজিঃ ২.১ মিলি করে ৩-৪ বেলা।
১২-১২.৫ কেজিঃ ২.৩ মিলি করে ৩-৪ বেলা।
১৩-১৩.৫ কেজিঃ ২.৫ মিলি করে ৩-৪ বেলা।
নাপা বা অন্য প্যারাসিটামল সিরাপ এবং সাসপেনশনের ডোজঃ
২-২.৫ কেজিঃ ১.৫ মিলি করে ৩-৪ বেলা।
৩-৩.৫ কেজিঃ ২ মিলি করে ৩-৪ বেলা।
৪-৪.৫ কেজিঃ ২.৫ মিলি (হাফ চামচ) করে ৩-৪ বেলা।
৫ কেজিঃ ৩ মিলি করে ৩-৪ বেলা।
৫.৫-৬ কেজিঃ ৩.৫ মিলি করে ৩-৪ বেলা।
৬.৫ কেজিঃ ৪ মিলি করে ৩-৪ বেলা।
৭-৭.৫ কেজিঃ ৪.৫ মিলি করে ৩-৪ বেলা।
৮-৮.৫ কেজিঃ ৫ মিলি (১ চামচ) করে ৩-৪ বেলা।
৯ কেজিঃ ৫.৫ মিলি করে ৩-৪ বেলা।
৯.৫ কেজিঃ ৬ মিলি করে করে ৩-৪ বেলা।
১০-১০.৫ কেজিঃ ৬.৫ মিলি করে ৩-৪ বেলা।
১১-১১.৫ কেজিঃ ৭ মিলি করে ৩-৪ বেলা।
১২-১২.৫ কেজিঃ ৭.৫ মিলি (দেড় চামচ) করে ৩-৪ বেলা।
১৩ কেজিঃ ৮ মিলি করে ৩-৪ বেলা।
১৩.৫-১৪ কেজিঃ ৮.৫ করে ৩-৪ বেলা।
১৪.৫-১৫ কেজিঃ ৯ মিলি করে ৩-৪ বেলা।
১৫.৫ কেজিঃ ৯.৫ মিলি করে ৩-৪ বেলা।
১৬ কেজিঃ ১০ মিলি (২ চামচ) করে ৩-৪ বেলা।
১৬.৫-১৭ কেজিঃ ১০.৫ মিলি করে ৩-৪ বেলা।
১৭.৫-১৮ কেজিঃ ১১ মিলি করে ৩-৪ বেলা।
১৮.৫ কেজিঃ ১১.৫ মিলি করে ৩-৪ বেলা।
১৯-১৯.৫ কেজিঃ ১২ মিলি করে ৩-৪ বেলা।
২০-২০.৫ কেজিঃ ১২.৫ মিলি (আড়াই চামচ) করে ৩-৪ বেলা।
২১ কেজিঃ ১৩ মিলি করে ৩-৪ বেলা।
২১.৫-২২ কেজিঃ ১৩.৫ মিলি করে ৩-৪ বেলা।
২২.৫ কেজিঃ ১৪ মিলি করে ৩-৪ বেলা।
২৩-২৩.৫ কেজিঃ ১৪.৫ মিলি করে ৩-৪ বেলা।
২৪-২৫ কেজিঃ ১৫ মিলি (৩ চামচ) করে ৩-৪ বেলা।
২৬-২৭ কেজিঃ ১৬.৫ মিলি করে ৩-৪ বেলা।
২৮-২৯ কেজিঃ ১৭.৫ মিলি (সাড়ে ৩ চামচ) করে ৩-৪ বেলা।
৩০ কেজিঃ ১৯ মিলি করে ৩-৪ বেলা।
৩১-৩২ কেজিঃ ২০ মিলি (৪ চামচ) করে ৩-৪ বেলা।
৩২+ কেজিঃ (এডাল্ট ডোজ) ৫০০ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট ৩-৪ বেলা।
২৫ কেজি+ বাচ্চা চাইলে এডাল্ট ডোজ ফলো করতে পারবে।
নাপা বা অন্য প্যারাসিটামল সাপোজিটরীর ডোজঃ
১০২+ ডিগ্রী ফারেনহাইট জ্বর থাকলে নাপা বা অন্য প্যারাসিটামল সাপজিটরী দেয়া যাবে।
২-২.৫ কেজিঃ ৬০ মিগ্রা এর অর্ধেক।
৩-৩.৫ কেজিঃ ৬০ মিগ্রা এর ৩ ভাগের ২ ভাগ।
৪-৪.৫ কেজিঃ ৬০ মিগ্রা পুরোটা।
৫-৬ কেজিঃ ১২৫ মিগ্রা এর ৩ ভাগের ২ ভাগ।
৭-৯ কেজিঃ ১২৫ মিগ্রা এর পুরোটা।
১০-১১ কেজিঃ ২৫০ মিগ্রা এর ৩ ভাগের ২ ভাগ।
১২-১৩ কেজিঃ ২৫০ মিগ্রা এর ৪ ভাগের ৩ ভাগ।
১৪-১৫ কেজিঃ ২৫০ মিগ্রা এর ৫ ভাগের ৪ ভাগ।
১৬-১৮ কেজিঃ ২৫০ মিগ্রা এর পুরোটা।
১৯-২১ কেজিঃ ৫০০ মিগ্রা এর ৫ ভাগের ৩ ভাগ।
২২-২৪ কেজিঃ ৫০০ মিগ্রা এর ৪ ভাগের ৩ ভাগ।
২৫ কেজিঃ ৫০০ মিগ্রা এর ৫ ভাগের ৪ ভাগ।
২৫+ কেজিঃ ৫০০ মিগ্রা এর পুরোটা।
জ্বরের ক্ষেত্রে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শঃ
জ্বরের সময় বাচ্চাকে ঢেকে না রেখে তাপ বের হয়ে যাওয়ার জন্য কাপড় সরিয়ে দিতে হবে।
বাচ্চার জ্বর প্যারাসিটামলে না কমলে কুসুম গরম পানি দিয়ে শরীর মুছিয়ে দিতে হবে।
প্রয়োজনে মাথায় পানি দিতে হবে। তবে বাচ্চার সর্দি বা ঠান্ডা থাকলে মাথায় পানি দেয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে।
ঠান্ডা সর্দি না থাকলে বাচ্চাকে উচ্চ জ্বরেও গোসল দেয়া যাবে।
বাচ্চার তাপমাত্রা মাপার সময় অবশ্যই থার্মমিটার ঠিক আছে কিনা চেক করবেন। সেক্ষেত্রে নিজের বা পরিবারের অন্য কারো তাপমাত্রা মেপে নিতে পারেন।
প্যারাসিটামল বা অন্য ঔষধ দেয়ার সময় অবশ্যই সেটা ড্রপ নাকি সিরাপ সেটা খেয়াল করে ঔষধ দিবেন।
প্যারাসিটামল খাওয়ানোর ৪ ঘন্টা পর ১০২+ জ্বর থাকলে পুনরায় প্যারাসিটামল একই ডোজে দেয়া যাবে। ৪ ঘন্টার আগে দেয়া যাবে না।
সিরাপ বা ড্রপ খাওয়ার ১ ঘন্টা পরও উচ্চ জ্বর থাকলে শরীর মুছে দেয়া এবং মাথায় পানি দেয়া ইত্যাদি সকল চেষ্টা করেও জ্বর ১০৩ এর নিচে নামানো না গেলে জরুরী অবস্থা বিবেচনায় ১ ঘন্টা পর সাপোজিটরী দেয়া যাবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে প্রতিবার মুখে নাপা খাওয়ার পর সাপোজিটরী দেয়া উচিত নয়।
প্যারাসিটামল সাপোজিটরী দেয়ার ১ ঘন্টা পর জ্বর না কমলে এবং ১০৩+ থাকলে হাসপাতালে নিতে হবে।
৩ দিন পরও জ্বর না কমলে অবশ্যই ডাক্তার দেখাবেন।
MBBS, MS (Pediatric Surgery)
SCHP (Paediatrics) Australia, CCD
Child Specialist & Pediatric Surgeon
চেম্বারঃ
আল-মারকাজুল ইসলামী হাসপাতাল
২১/১৭, বাবর রোড, মোহাম্মদপুর, ঢাকা।
সিরিয়ালের জন্য কল করুনঃ 01755515556 (দুপুর ৩ টায়)
সিটি কেয়ার জেনারেল হাসপাতাল
২৩/৬, রুপায়ন শেলফোর্ড, লেভেল ৮, শ্যামলী। (শিশু মেলার বিপরীতে)
সিরিয়ালের জন্য কল করুনঃ 09642400300
অনলাইন কনসালটেশনঃ m.me/cdc.dhaka.bd