বাচ্চার বারবার ঠান্ডা, সর্দি, এবং কাশি হওয়ার পেছনে সাধারণত তিনটি প্রধান কারণ থাকতে পারে—এলার্জি, ইনফেকশন, এবং এডিনয়েড। নিচে প্রতিটি কারণ বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
নাক দিয়ে স্বচ্ছ পানির মতো সর্দি।
হাঁচি বেশি হয় (বিশেষত সকালে বা ধুলাবালিতে)।
চোখ চুলকানো, লাল হওয়া বা পানি পড়া।
গলা ও নাক চুলকায়।
কাশি সাধারণত শুকনো এবং রাতে বেড়ে যায়।
সাধারণত জ্বর থাকে না।
মৌসুম পরিবর্তনের সময় বেশি দেখা যায়।
সনাক্তকরণ: অ্যালার্জি স্ক্রিনিং টেস্ট (IgE টেস্ট বা স্কিন প্রিক টেস্ট) করা যেতে পারে।
সর্দি প্রথমে স্বচ্ছ থাকলেও পরে ঘন হয়ে যায় (হলুদ বা সবুজ রঙের হতে পারে)
গলা ব্যথা বা গলাব্যথা থাকতে পারে।
জ্বর থাকতে পারে (ভাইরাল সংক্রমণে হালকা জ্বর, ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণে উচ্চ জ্বর)।
কাশি শুকনো বা কফযুক্ত হতে পারে।
সনাক্তকরণ: রক্ত পরীক্ষা (CBC), সি-রিয়েক্টিভ প্রোটিন (CRP), বা গলা এবং নাকের সোয়াব টেস্ট করতে হবে। ফুসফুসে ইনফেকশন হলে বুকের এক্সরে করতে হবে।
নাক বন্ধ থাকে (মুখ দিয়ে শ্বাস নিতে হয়)।
ঘুমের সময় নাক ডাকে।
শ্বাস নিতে কষ্ট হয় এবং ঘুমে সমস্যা হয় (Sleep Apnea হতে পারে)।
বারবার সাইনাস ইনফেকশন বা কানের ইনফেকশন।
নাকের সমস্যার কারণে মুখের গড়নে পরিবর্তন হতে পারে (Adenoid Facies)।
সেকেন্ডারি ইনফেকশন হলে ঠান্ডা সর্দি কাশির সাথ জ্বর আসতে পারে।
সনাক্তকরণ: ন্যাজোফ্যারিনজিয়াল এক্স-রে ল্যাটারাল ভিউ।
বারবার সর্দি-কাশি, তবে জ্বর নেই এবং ধুলাবালি বা ঠান্ডায় বেড়ে যায় → এলার্জি।
সর্দি ঘন হয়ে গেলে এবং জ্বর থাকে → ইনফেকশন।
নাক বন্ধ, মুখ দিয়ে শ্বাস নেওয়া, নাক ডাকা, এবং ঘুমে সমস্যা → এডিনয়েড বড় হওয়ার ইঙ্গিত।
পরিবেশ নিয়ন্ত্রণ করুন: ধুলাবালি, ফুলের রেণু, এবং পোষা প্রাণীর সংস্পর্শ এড়িয়ে চলুন। ঘর নিয়মিত পরিষ্কার রাখুন। বাইরে গেলে ধুলাবালি পরিহার করতে মাস্ক ব্যবহার করুন।
ওষুধ: ডাক্তারের পরামর্শে অ্যান্টিহিস্টামিন ওষুধ বা সিরাপ ব্যবহার করতে হবে।
এলার্জিক খাবার পরিহারঃ আপনার বাচ্চা নিয়মিত কোন কমন এলার্জিক খাবার খাচ্ছে কিনা সেটা খেয়াল করুন এবং সেরকম কোন কিছু নিয়মিত খেলে সেটা পরিহার করে বাচ্চাকে ২-৩ মাস অবজার্ভ করুন। কমন এলার্জিক খাবার গুলো হলোঃ গরুর দুধ, ফর্মুলা দুধ (গরুর দুধ থেকে তৈরী), হাসের ডিম, বাদাম, বিভিন্ন মাছ (ইলিশ, চিংড়ি, বোয়াল), লাল মাংস (গরু, খাসি), গম, কিছু সবজি (মিষ্টি কুমড়া, পুই-পালং শাক, কচু, কচুর শাক, কচুর লতি, বেগুন) সয়াবিন, বার্লি, কলা ইত্যাদি।
এলার্জি স্ক্রিনিং টেস্ট করুন: সঠিক কারণ চিহ্নিত করতে টেষ্ট করে বের করতে হবে কোন বস্তুতে এলার্জি এবং সেটা পরিহার করতে হবে।
ভাইরাল ইনফেকশন ৩-৫ দিনে ভালো হয়ে যেতে পারে। এই কদিন এন্টিহিস্টামিন, কফ সিরাপ এবং উপসর্গ নির্ভর চিকিৎসা দেয়া যায়। তবে সুস্থ না হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
প্রয়োজনে পরীক্ষা: রক্তের CBC, CRP, বা সোয়াব কালচার, বুকের এক্সরে।
ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণ হলে অ্যান্টিবায়োটিক দরকার হতে পারে। যেটা অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শে নিবেন।
বাচ্চার বার বার উপড়ের শ্বাসতন্ত্রে ইনফেকশন হলে সেটা বাচ্চার দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নির্দেশ করে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ডাক্তারের নির্দেশনা মানতে হবে। এরকম ক্ষেত্রে ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং নিউমনিয়া টীকা দেয়া উচিত। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম সম্পন্ন বাচ্চাদের সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে।
পরীক্ষা: ন্যাজোফ্যারিনজিয়াল এক্স-রে ল্যাটারাল ভিউ করে নিশ্চিত হতে হবে।
চিকিৎসা: সমস্যার তীব্রতার ওপর ভিত্তি করে ডাক্তার নাকের স্প্রে, অ্যান্টিহিস্টামিন, বা সার্জারির (Adenoidectomy) পরামর্শ দিবেন। তবে কম বয়সে সাধারণত ঔষধ দিয়ে চিকিৎসা করা হয়ে থাকে।
MBBS, MS (Pediatric Surgery)
SCHP (Paediatrics) Australia, CCD
Child Specialist & Pediatric Surgeon
চেম্বারঃ
আল-মারকাজুল ইসলামী হাসপাতাল
২১/১৭, বাবর রোড, মোহাম্মদপুর, ঢাকা।
সিরিয়ালের জন্য কল করুনঃ 01755515556 (দুপুর ৩ টায়)
সিটি কেয়ার জেনারেল হাসপাতাল
২৩/৬, রুপায়ন শেলফোর্ড, লেভেল ৮, শ্যামলী। (শিশু মেলার বিপরীতে)
সিরিয়ালের জন্য কল করুনঃ 09642400300
অনলাইন কনসালটেশনঃ m.me/cdc.dhaka.bd