বিসিজি (যক্ষার টীকা) - এটি দেশে সরকারী ভাবে দেয়া হয়। একটি মাত্র ডোজ। জন্মের পর থেকেই এই টীকা দেয়া যায়। যদি কোন কারণে দেয়া না হয় তবে ৬ সপ্তাহে অন্য টীকার সাথে এটা দেয়া যায়। বিসিজি টীকা দেয়ার জায়গায় দাগ পড়বে এবং পাকতেও পারে। যদি একদমই কোন দাগ না হয় এবং হাত দিয়ে কোন উচু-নিচু অনুভূতি না পাওয়া যায় তাহলে এই টীকা আবার দিতে হবে। বিসিজি টীকার জয়গা পেকে গেলে এবং পুজ হলে কোন ঔষধের প্রয়োজন নেই। এখানে ১ মাস কোন মলম, ক্রিম বা লোশন ব্যবহার করা যাবে না।
ওপিভি (পোলিও টীকা) - ওপিভি টীকার ৪টি ডোজ এবং ইপিয়াই সিডিউলে সরকারী ভাবে এই টীকা দেয়া হয় জন্মের পর, ৬, ১০ এবং ১৪ সপ্তাহে।
পেন্টা ভ্যালেন্টঃ ৫টি রোগ বা জীবাণুর বিরুদ্ধে এই পেন্টা ভ্যাস্কিন কাজ করে। এগুলো হলোঃ ডিপথেরিয়া, হুপিং কফ, টিটেনাস, হেপাটাইটিস-বি এবং হিমোফিলাস ইনফ্য়েলুয়েঞ্জা-বি। সরকারী ভাবে এই টীকার ৩ টি ডোজ দেয়া হয় যথাক্রমে ৬, ১০ এবং ১৪ সপ্তাহে। এই ভ্যাক্সিনের একটা বুষ্টার ডোজ আছে যেটা ১৫-১৮ মাসের ভিতর বেসরকারী ভাবে দেয়া যায়।
পিসিভি (নিউমোনিয়ার টীকা) - নিউমোনিয়ার এর টীকার ৩ টি ডোজ সরকারী ভাবে দেয়া হয় যথাক্রমে ৬, ১০ এবং ১৪ সপ্তাহে যেটা ১ বছরের নিচের ছোট শিশুদের নিউমোনিয়া থেকে রক্ষা করে। ভ্যাক্সিনের একটা বুষ্টার ডোজ আছে যেটা বেসরকারী ভাবে ১২-১৫ মাসের ভিতর দেয়া যায়। অনেক সময় এই টীকার এন্টিবডি টাইটার
১-১.৫ বছরের দিকে কিছুটা কমে যায় সেজন্য এই বুষ্টার ডোজ। যেটা দিয়ে আবার এন্টিবডি টাইটার চাঙ্গা করে নেয়া যায়।
এম আর (হাম, রুবেলা টীকা) - সরকারী ভাবে এই টীকা ৯ এবং ১৫ মাসে দেয়া হয়। দেখা গেছে দেয়ার ভুল টেকনিক এবং ভ্যাক্সিন এর সমস্যার কারণে একটা ডোজ দেয়ার ফলে ১০০% কভার করে না। একটি পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ১ ডোজ এ ৯৩% এবং ২টি ডোজ দেয়ার পর ৯৭% জনগন হাম-রুবেলার এন্টিবডী পায়। এজন্য সরকার ১০০% কাভারেজ পাওয়ার জন্য মাঝে মধ্যে হাম-রুবেলার আলাদা ক্যাম্পেইন পরিচালনা করে থাকে।
রোটা ভাইরাল টীকাঃ ইপিয়াই তে এই ভ্যাক্সিন যুক্ত নেই বিধায় বেসরকারী ভাবে এটা দিতে হয়। শিশুদের ৮০-৮৫% ডায়রিয়ার কারণ রোটা ভাইরাস। শিশুদের ডায়ারিয়ার প্রোকপ কমাতে রোটা ভাইরাস ভ্যাকসিন দারুন কার্যকর। কম্পানি ভেদে দুই বা তিন ডোজের রোটা ভাইরাস ভ্যাকসিন বাজারে রয়েছে। রোটা রিক্স ও রোটা টেক নামে দুই ধরনের ভ্যাকসিন পাওয়া যায়। যে কোন একটা টীকা দিবেন। রোটা টেক এর ডোজ ২, ৪ এবং ৬ মাস। রোটা রিক্স এর ডোজ ২ এবং ৪ মাস। ২ মাস অন্তর না দিয়ে নূন্যতম ১ মাস গ্যাপ দিয়ে টীকা গুলো দেয়া যায়। ১.৫ মাস বয়সের পর থেকে বাচ্চাকে রোটা ভাইরাল ভ্যাক্সিন দেওয়া যায়। যদি উপড়ে উল্লেখিত ডোজ মিস হয় তবে অবশ্যই ৮ মাস পূর্ন হওয়ার আগে সবগুলো ডোজ সম্পন্ন করতে হবে। ৬ মাসের মধ্যে এই টীকার প্রথম ডোজ শুরু না করতে এই টীকা দেয়া যাবে না।
ইনফ্লুয়েঞ্জা টীকাঃ বেসরকারী টীকা। ইনফ্লুভেক্স টেররা, ভ্যাক্সিগ্রিপ এবং ফ্লুয়ারিস্ক নামে ৩ টি ভিন্ন কোম্পানির টীকা বাজারে পাওয়া যায়। ৬ মাস সম্পন্ন হওয়ার পর থেকে এই টীকা দেয়া যায়। ১ মাস ব্যাবধানে ২ টি ডোজ দিতে হয় এবং এরপর ১ বছর পরপর এই টীকা দিতে হয়। এই টীকা বাচ্চাদের ফ্লু, সর্দি ইত্যাদির থেকে রক্ষা করে।
টাইফয়েড টীকাঃ বেসরকারী টীকা। ভ্যাক্সফয়েড, টায়ফিম এবং টায়ফেরিস্ক নামে ৩ টি ভিন্ন কোম্পানির টীকা বাজারে পাওয়া যায়। ২ বছরের পর থেকে যে কোন বয়সে এই টীকা দেয়া যায়। প্রতি ৩ বছর পরপর বুষ্টার ডোজ দিতে হয়। এই টীকা টায়ফয়েড জ্বরের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে।
চিকেন পক্সঃ বেসরকারী টীকা। ভেরিলরিস্ক, ভ্যারিজোস্ট এবং ভেরিভ্যাক্স নামে ভিন্ন ৩টি টিকা পাওয়া যায়। ভেরিলরিস্ক ও ভ্যারিজোস্ট ২ ডোজ, ৯ মাস থেকে দেয়া যায়। প্রথমটির ১.৫ মাস পর দ্বিতীয়টি দিতে হয়। ভেরিভ্যাক্স ১ বছরের পর থেকে যে কোন বয়সে দেয়া যায়। প্রথমটি ১২-১৫ মাসের মধ্যে দেয়া উত্তম। সেক্ষেত্রে ৪-৬ বছরের মধ্যে ২য় ডোজ দিয়ে দিবেন যেটা বুষ্টার হিসাবে কাজ করে।
নিউমোনিয়াঃ বেসরকারী টীকা। সরকারী ভাবে যে পিসিভি টীকা দেয়া হয় সেটা নিউমোকক্কাস এর ১৩ টি স্ট্রেইনের বিরুদ্ধে কাজ করে। আর এই নিউমো-২৩ বা নিউমোভ্যাক্স-২৩ নিউমোকক্কাস এর ২৩ টি স্ট্রেইনের বিরুদ্ধে কাজ করে। এটার ১ টা ডোজ, ২ বছর সম্পন্ন হলে দেয়া যায়।
হেপাটাইটিস-এঃ বেসরকারী টীকা হ্যাভরিস্ক ৭২০ এবং প্রিভা-এইচএভি নামে বাচ্চাদের জন্ডিস এর প্রধান কারন হেপাটাইটিস-এ প্রতিরোধে পাওয়া যায়। এটার ২ টি ডোজ। ১ বছর সম্পন্ন হলে দেয়া যায়। ৬ মাস থেকে ১ বছর ব্যাবধানে ২য় ডোজ দিতে হয়।
কলেরা টীকাঃ বেসরকারী টীকা কলভ্যাক্স এর ২টি ডোজ। ১ বছর বয়স থেকে দেয়া যায়। নূন্যতম ১৫ দিন গ্যাপ দিয়ে ২য় দোজ দেয়া যায়। ডুকোরাল নূন্যতম ২ টি ডোজ। ২ বছর সম্পন্ন হলে দেয়া যায়। ২ টি ডোজ ১ সপ্তাহ ব্যবধানে দেয়া হয়। এর ৬ মাস পর বুষ্টার ডোজ দেয়া যায়।।
মেনেঞ্জাইটিসঃ বেসরকারী টীকা মেন্সিভ্যাক্স বা ইনগভ্যাক্স এর ১টি ডোজ। ২ বছর সম্পন্ন হলে দেয়া যায়। কিছু ক্ষেত্রে একাধিক ডোজ লাগে। মেনেঞ্জাইটিস এর আরো কিছু টীকা পাওয়া যায় যেগুলোর ডোজ এবং বয়স ভিন্ন হতে পারে।
বেসরকারী টীকা গুলো খুবই কম চলে বলে সব জায়গায় পাওয়া যায়না। বড় বেসরকারী হাসপাতাল গুলোতে খুজতে হবে এবং বড় ফার্মেসী গুলোতে খুজতে হবে। প্রয়োজনে বড় ফার্মেসীতে অর্ডার করলে তারা কোম্পানীর সাথে কথা বলে আনিয়ে দিতে পারবে। সেক্ষেত্রে সেই টীকা কিনে যে কোন বেসরকারী শিশু হাসপাতালে বা ক্লিনিকে টীকা দিতে পারবেন।
MBBS, MS (Pediatric Surgery)
SCHP (Paediatrics) Australia, CCD
Child Specialist & Pediatric Surgeon
চেম্বারঃ
আল-মারকাজুল ইসলামী হাসপাতাল
২১/১৭, বাবর রোড, মোহাম্মদপুর, ঢাকা।
রবি, মংগল ও বৃহ, বিকেল ৫ঃ০০ - ৭ঃ০০
সিরিয়ালের জন্য কল করুনঃ 01755515556
ইউনিএইড ডায়াগনস্টিক এন্ড কনসালটেশন
2-A/1, দারুস সালাম রোড, মিরপুর-১।
শনি, সোম ও বুধবার, সন্ধা ৭ঃ৩০ - ৯ঃ৩০
সিরিয়ালের জন্য কল করুনঃ 017333702755
অনলাইন কনসালটেশনঃ m.me/cdc.dhaka.bd