শিশুদের চোখের সমস্যার প্রধান কারণ হলো এই ভিটামিন এ এর কমতি! তাছাড়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমতে পারে শরীরে এর অভাব হলে।
ভিটামিন-এ এর কিছু উপকারী দিকঃ
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
দৃষ্টিশক্তি ঠিক রাখে
ক্যান্সার প্রতিরোধ করে
এন্টি-অক্সিডেন্ট হিসাবে কাজ করে
হজম শক্তি ঠিক রাখে
আমাদের দেশে নিয়মিত ভিটামিন-এ ক্যাম্পেইনে ভিটামিন-এ টীকা খাওয়ানো হয়ে থাকে। বাচ্চার সুস্থ থাকলে অবশ্যই ক্যাম্পেইনে বাচ্চাকে ভিটামিন-এ খাওয়াবেন। ভিটামিন এ ক্যাম্পেইনে টীকা খাওয়ানোর ব্যাপারে অনেক মায়ের বেশ কনফিউশন হয় বিধায় কিছুটা ব্যাখ্যা করছি।
৬ মাস+ বয়সী বাচ্চা খাবে নীল ক্যাপসুল।
১২ মাস+ বয়সী বাচ্চা খাবে লাল ক্যাপসুল।
অসুস্থতার জন্য এন্টিবায়েটিক কোর্স চলছে, এখন মুটামুটি সুস্থ আছে - এন্টিবায়েটিক চলমান অবস্থায় ভিটামিন-এ খাওয়ানো যাবে।
বাচ্চার বমি - ডায়ারিয়া চলছে - ক্যাম্পেইন পিরিয়ডের মধ্যে সুস্থ হলে খাওয়াবেন, নয়ত খাওয়াবেন না।
বাচ্চার অনেক জ্বর থাকলে খাওয়াবেন না।
বাচ্চার সর্দি, কাশি আছে - খাওয়াতে পারবেন।
টীকা দেয়ার দিনেই বাচ্চার ৬ মাস / ১৮০ দিন পূর্ণ হবে - খাওয়াতে পারবেন।
বাচ্চার বয়স ৫ মাস ২০ দিন - খাওয়াবেন না।
টীকা দেয়ার দিনে ১ বছর পূর্ণ হবে - ১ বছর পূর্ণ হওয়ার পর লাল ক্যাপসুল খাবে।
বাচ্চা ১-২ মাসের প্রিমেচেউর, এখন বয়স ৬ মাস - টীকা খাওয়াবেন (নীল)। প্রিমেচেউর কিনা সেটা গণ্য হবে না।
বাচ্চা ১-২ মাসের প্রিমেচেউর, এখন বয়স ১ বছর - টীকা খাওয়াবেন (লাল)। প্রিমেচেউর কিনা সেটা গণ্য হবে না।
গত ৩ মাসের মধ্যে টীকা খেয়েছে এমন হলে পুনরায় খাওয়ানোর প্রয়োজন নাই।
বাচ্চা খুব অসুস্থ হলে টীকা খাওয়ানোর প্রয়োজন নাই।
ক্যাম্পেইনে ভিটামিন-এ টীকা মিস হলে
যারা ক্যাম্পেইনে তীকা খাওয়াতে পারেন নাই তারা পরবর্তীতে দোকান থেকে কিনে খাওয়াতে পারবেন। দোকানে পাওয়া যায়- Cap Ratinol Forte 50000 IU। ৬ - ১১ মাস বাচ্চা খাবে ৫০ হাজারের ২ টা ক্যাপসুল। ১ - ৫ বছরের বাচ্চা খাবে ৫০ হাজারের ৪ টা ক্যাপসুল। এই ডোজ দোকান থেকে রেটিনল ফোর্ট ৫০ হাজার ইউনিট কিনে খাওয়ানোর বেলায় প্রযোজ্য, টীকা কেন্দ্রের বেলার নয়।
ক্যাপসুল খাওয়ানোর সময় হাইজিন মেনে চলবেন। সবাই খেয়াল রাখবেন, মাথা কেটে ক্যাপসুলের পেটে চাপ দিয়ে শুধুমাত্র ভেতরের ভিটামিন খাওয়াবেন। পুরো ক্যাপসুলটি বাচ্চার মুখে দিবেন না।
ভিটামিন-এ ফ্যাট সলেবল ভিটামিন বিধায় চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়ার পর ভিটামিন-এ হজম ভালো হয়। তাই টীকা খাওয়্যানোর পুর্বে বাচ্চাকে কিছুটা চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়াতে পারেন। ৬-৭ মাসের বাচ্চাকে শুধু বুকের দুধ খাওয়ালেই হবে, দুধেই চর্বি বিধ্যমান।
ভিটামিন-এ যুক্ত খাবারঃ
এছাড়া মিষ্টি আলু, গাজর, ছোট মাছ, ডিমের কুসুম, কলিজা, মিষ্টি কুমড়া, এপ্রিকট, আম, মটরশুটি, কাঠ বাদাম, মটরশুটি, সবুজ শাক-সবজিতে ভিটামিন-এ থাকে ভাল মাত্রায়। তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় এসব খাবার রাখবেন।
MBBS, MS (Pediatric Surgery)
SCHP (Paediatrics) Australia, CCD
Child Specialist & Pediatric Surgeon
চেম্বারঃ
আল-মারকাজুল ইসলামী হাসপাতাল
২১/১৭, বাবর রোড, মোহাম্মদপুর, ঢাকা।
রবি, মংগল ও বৃহ, বিকেল ৫ঃ০০ - ৭ঃ০০
সিরিয়ালের জন্য কল করুনঃ 01755515556
ইউনিএইড ডায়াগনস্টিক এন্ড কনসালটেশন
2-A/1, দারুস সালাম রোড, মিরপুর-১।
শনি, সোম ও বুধবার, সন্ধা ৭ঃ৩০ - ৯ঃ৩০
সিরিয়ালের জন্য কল করুনঃ 017333702755
অনলাইন কনসালটেশনঃ m.me/cdc.dhaka.bd