মুখের ভেতর কোন ঘা আছে কিনা, সাদা কাই খুব বেশি পরিমাণে আছে কিনা চেক করুন। থাকলে চিকিৎসা করতে হবে।
শরীরে কোন ইনফেকশন আছে কিনা চেক করতে হবে। যেমন কানের ইনফেকশন, প্রস্রাব বা পায়খানা ইনফেকশন।
বাচ্চার নাক বন্ধ আছে কিনা খেয়াল করে সমাধান করতে হবে। নাকে ২ ফোটা করে নরসল ড্রপ দিবেন ২ বেলা। ঠান্ডা সর্দি থাকলে সাথে চিকিৎসা করবেন। নরসল ড্রপ দিয়ে সমাধান না হলে চিকিৎসা প্রয়োজন হবে। নাকের টারবিনেট ফুলে যেতে পারে, এডিনয়েড বড় হতে পারে।
হার্টের জন্মগত ত্রুটি থাকলে বাচ্চা ঠিক ভাবে খেতে পারছে না বা খাচ্ছে না এরকম সমস্যা হতে পারে। তাই ডাক্তার দেখিয়ে পরীক্ষা করাতে হবে।
বুকের দুধের ফ্লো বেশি হচ্ছে কিনা খেয়াল করুন এবং সমাধান করুন। কিছুটা দুধ ফেলে বা হাত দিয়ে চেপে খাওয়াবেন।
বুকের দুধের স্বাদ চেঞ্জ হয়েছে কিনা সেটা ভাবতে হবে। আপনি ঝাল বা ভাজা-পোড়া বেশি খেলে সেটা পরিহার করবেন।
বাচ্চার গ্যাসের বা রিফ্লাক্সের সমস্যা হচ্ছে কিনা চিন্তা করতে হবে। ভালো গ্যাসের ঔষধ দিতে হবে। বাচ্চার মাথা উচুতে রেখে খাওয়াতে হবে।
কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা থাকলে সমাধান করতে হবে।
বুকের দুধে এলার্জি হলে বা ল্যাক্টোজ ইনটলারেন্স হলে সেটা খেয়ে বাচ্চার সমস্যা অনুভূত হতে পারে। সেক্ষেত্রেও বাচ্চা বুকের দুধ রিজেক্ট করতে পারে। এক্ষেত্রে বাচ্চার মা গরুর দুধ এবং এলার্জিক খাবার পরিহার করুন।
দাত উঠার কারনে ব্যাথা হলেও হঠাৎ বুকের দুধ রিজেক্ট করতে পারে।
নিপল রিট্রাকশন বা ভেতরে ঢুকে যাওয়া। নিপলে কোন ফাঙ্গাল সমস্যা বা ব্রেষ্টে দুধ জমে শক্ত হয়ে যাওয়া ইত্যাদি থাকলে সমাধান করতে হবে।
বাচ্চার মা নিয়মিত কোন ঔষধ খাচ্ছেন এমন হলে ডাক্তারের সাথে আলোচনা করুন এবং সেটা ৩-৫ দিন বন্ধ রেখে অবজার্ভ করুন।
অনেক সময় মা স্পেসিফিক কোন লোশন / প্রসাধনি ব্যবহার বা কোন ডিটারজেন্ট দিয়ে কাপড় কাচার ফলে তার গন্ধের কারনে বাচ্চা বুকের দুধ রিজেক্ট করতে পারে।
এছাড়া ভিন্ন কিছু কারণে মাঝে মঝে বাচ্চা বুকের দুধ পরিহার করতে পারে। যেমনঃ মায়ের থেকে বাচ্চা দূরে সরে গেছে, মা বাচ্চাকে যথেষ্ট সময় দিচ্ছে না বা যথেষ্ট আদর করছে না। বুকে কামর দেয়ার কারণে খুব কড়া করে বকা ঝকা দেয়া হয়েছে। পরিবারে অশান্তি বা কোলাহলের ফলে বাচ্চার স্ট্রেস বেড়ে গেছে। বাচ্চার খুব বেশি ক্ষুধা লাগার পর বুকের দুধ অফার করা হচ্ছে। মায়ের মানসিক স্ট্রেসের ফলে তার ব্যবহার ঠিক নাই ইত্যাদি।
বাচ্চাকে সময় বাড়িয়ে দিতে হবে। বেশি আদর করতে হবে। বাচ্চাকে শান্ত করুন, বাচ্চার চোখে চোখ রেখে ধীরে ধীরে কথা বলুন, হাসুন এবং অনেক সময় অতিবাহিত করুন। এরপর বুকের দুধ অফার করুন। ব্রেষ্ট দেখে ভয় পেলে সেটা কাটিয়ে উঠার ব্যবস্থা নেন। বাচ্চাকে বুকের উপড় রাখুন, সময় অতিবাহিত করুন। এই অবস্থায় বাচ্চার সাথে কথা বলুন। নিজের এবং বাচ্চার স্ট্রেস মেনেজমেন্ট করুন।
ফিডিং পজিশন চেঞ্জ করুন। বিভিন্ন পজিশন ট্রাই করতে পারেন যেটাতে বাচ্চার সুবিধা হয়। কান্না অবস্থায় বা অতি উত্তেজিত অবস্থায় ফিডিং অফার করবেন না। খুব বেশি ক্ষুধা লাগার আগেই বুকের দুধ অফার করবেন। এসব কিছুই ফেইল করলে বাচ্চাকে তন্দ্রাচ্ছন্ন অবস্থায় বুকের দুধ অফার করুন। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই বাচ্চা এরকম অবস্থায় বুকের দুধ খেয়ে নেয়। এছাড়া বুকের দুধ এক্সপ্রেস করে ফিডারে খাওয়ানোর ট্রাই করতে পারেন। উপড়ে উল্লেখিত কোন ফিজিক্যাল সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের সাহায্য নিবেন।
MBBS, MS (Pediatric Surgery)
SCHP (Paediatrics) Australia, CCD
Child Specialist & Pediatric Surgeon
চেম্বারঃ
আল-মারকাজুল ইসলামী হাসপাতাল
২১/১৭, বাবর রোড, মোহাম্মদপুর, ঢাকা।
সিরিয়ালের জন্য কল করুনঃ 01755515556 (দুপুর ৩ টায়)
সিটি কেয়ার জেনারেল হাসপাতাল
২৩/৬, রুপায়ন শেলফোর্ড, লেভেল ৮, শ্যামলী। (শিশু মেলার বিপরীতে)
সিরিয়ালের জন্য কল করুনঃ 09642400300
অনলাইন কনসালটেশনঃ m.me/cdc.dhaka.bd